ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাসের চারজন যাত্রী, যার মধ্যে একটি শিশুও ছিল, নিহত হয়েছে। আরো চারজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬:৪৫ মিনিটের দিকে বাটিশা-নানকারা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মো: মামুন (৫০), তার পাঁচ মাসের পুত্র সায়মন ইসলাম, তার শাশুড়ি মাজেদা বেগম (৭০) এবং মাইক্রোবাস চালক আলাউদ্দিন হাজারী (২৭)।
তারা বন্যাকবলিত এলাকা ফেনী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। মামুনের ভাই আবু হানিফ জানান, মামুন ঢাকার একটি হাসপাতালে কাজ করতেন। দুই দিন আগে তিনি বন্যার শিকার তার পরিবারকে দেখতে ফেনীতে গিয়েছিলেন।
“শুক্রবার সকালে তিনি, তার স্ত্রী, পুত্র এবং শাশুড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে রওনা হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে আমরা শুনতে পেলাম গাড়িটির দুর্ঘটনা হয়েছে এবং চারজন মারা গেছে,” হানিফ বলেন।
হাইওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ স্টেশনের প্রধান রইস উদ্দিন, প্রত্যক্ষদর্শীদের উল্লেখ করে জানান, বাটিশা-নানকারা এলাকায় ঢাকা-গামী লেনে একটি পিকআপ ভ্যান পার্ক করা ছিল যখন মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটির সাথে ধাক্কা খায়।
এরপরে স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা মারে। আতঙ্কের ফলে মাইক্রোবাসটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়ে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যায়। মামুনের স্ত্রী এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়ি এবং লাশ থানায় নিয়ে গেছে, তিনি জানান। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলে মৃতদেহগুলি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ওসি রইস বলেছেন।
উৎস: বিডি নিউজ ২৪